আজ যে এই লিখতে বসেছি, তা আরো একবার তার ই দ্বারা inspired হয়ে | মামারবাড়ি, ছেলেবেলার প্রায় সবার কাছেই তাদের প্রিয় জায়গা| আমার কাছে এই বাপারটি কোনরূপ আলাদা ছিল না| দাদুর সাথে মাঠে ঘুরে বেড়ানো আর ছুটির বেশ কিছু দিন আমেজ নিয়ে কাটানোটাই ছিল লোভের বিষই| পড়াসুনো অবিস্সী করতে হত, কারণ মা কখনো সেটা থেকে রেহাই দিতেন না| তবু, বাড়িতে গরমের ছুটিতে পড়তে বসা আর মামারবাড়িতে বসে পড়ার মধ্যে অনেক তফাত ছিল|
প্রথমত টুকটাক ভুল হলে, বাবা আসেপাসে থাকার আশংকা একদম ছিল না| দিতীয়ত, মা পড়াতে বসাবার চান্স ও ছিল খুব কম| বেশির ভাগ দিন সকালটা দাদুই পড়াতেন| আর দাদু পড়ালে, টুকটাক ভুল বা অন্যমনস্ক হলে, মারের বদলে বরং একটু আদরই পাওয়া যেত| তবে একটু দিন গড়ালে, দাদু যেতেন গ্রামের কাজ দেখতে, আর সেই ফাঁকে কখনো মা এসে যাচাই করে যেতেন, সব ঠিকঠাক চলছে কিনা? এটাই ছিল আমার দিনের সব চেয়ে বড় চিন্তার বিষই| গোটা সকাল হেলেদুলে পড়ার পর, সেরম কিছুই এগত না, আর সেই দেখে মা প্রায় এক দু ঘা বসিয়েই দিতেন| সকালটা নাহই দাদু অনেক বাঁচিয়েছেন, কিন্তু এবার কি হবে?